স্বামী নিগমানন্দ পরমহংস (১৮ আগস্ট ১৮৮০ – ২৯ নভেম্বর ১৯৩৫) ছিলেন এক মহান যোগী, সাধক, তান্ত্রিক গুরু ও আধ্যাত্মিক শিক্ষক। তিনি মানবজাতির আত্মজাগরণের পথে গুরুভক্তি, সাধনা ও প্রেমের মাধ্যমে মুক্তির উপদেশ দিয়েছিলেন।
জন্ম ও পরিবার
স্বামী নিগমানন্দের জন্ম ১৮ আগস্ট ১৮৮০ সালে বর্তমান বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলার কুতুবপুর গ্রামে। তাঁর আসল নাম ছিল নলিনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়। পিতা ভুবনমোহন চট্টোপাধ্যায় ও মাতা মাণিক্য সুন্দরী দেবী।
আরও জানুন 👉 জীবনী বিভাগে অন্যান্য আধ্যাত্মিক গুরুদের জীবনকথা
শিক্ষাজীবন ও কর্মজীবন
তিনি স্থানীয় বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন এবং কর্মজীবন শুরু করেন দিনাজপুর জেলার রানী রাসমণির এস্টেটে। কর্মজীবনের পাশাপাশি তিনি আত্মঅনুসন্ধান ও তত্ত্বচিন্তায় প্রবৃত্ত হন।
সন্ন্যাস গ্রহণ ও সাধনা
পরবর্তীতে তিনি সন্ন্যাস গ্রহণ করেন ও পরিচিত হন স্বামী নিগমানন্দ সরস্বতী পরমহংস নামে। তাঁর সাধনা চারটি মূল পথে বিভক্ত ছিল — তন্ত্র, জ্ঞান, যোগ ও প্রেম।
তাঁর শিক্ষায় গুরুর প্রতি আত্মসমর্পণ, শুদ্ধ প্রেম ও আত্মসাধনাই ছিল মুক্তির পথ।
🔗 পড়ুন আরও: ঠাকুর নিগমানন্দের বাণী সম্ভার
প্রধান গ্রন্থসমূহ
- ব্রহ্মচর্য সাধনা
- যোগী গুরু
- জ্ঞানী গুরু
- তান্ত্রিক গুরু
- প্রেমিক গুরু
এই গ্রন্থগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন 👉 নিগম সুধা বিভাগে।
প্রতিষ্ঠান ও দর্শন
তাঁর প্রতিষ্ঠিত আশ্রমগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো শান্তি আশ্রম (কোকিলামুখ, আসাম)। তিনি সর্বধর্মসমন্বয় ও মানবধর্মের প্রচারক ছিলেন।
আরও জানুন 👉 মঠ ও আশ্রম বিভাগে
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
স্বামী নিগমানন্দ ২৯ নভেম্বর ১৯৩৫ সালে পরলোকগমন করেন। তাঁর জন্মস্থান কুতুবপুর ও আশ্রমসমূহে আজও তাঁর স্মৃতি জাগ্রত। প্রতিবছর ঠাকুর নিগমানন্দ জন্মোৎসব ভক্তদের মধ্যে এক মহোৎসবে পরিণত হয়।
তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা
স্বামী নিগমানন্দ আমাদের শিখিয়েছেন — সত্যের পথে অগ্রসর হতে হলে গুরু, সাধনা ও প্রেম অপরিহার্য। তিনি বিশ্বাস করতেন গৃহস্থ জীবনেও আধ্যাত্মিক উন্নতি সম্ভব।
উৎস: উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া
